এম এ মোতালিব ভুইয়াঃ দোয়ারাবাজারে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর আওতাধীন বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা বিওপির অধীনে এক ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ স্মৃতিসৌধ মাঠে আয়োজিত আলোকিত সীমান্তের শ্লোগান এর অধীনে ‘‘আলোর পথে” অনুষ্ঠানে ২৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা যারা বিভিন্ন সীমান্ত সংশ্লিষ্ট অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন তারা স্বাভাবিক জীবেনে ফেরত আসার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এখন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসা ব্যক্তিবর্গ সীমান্ত সংঘটিত যে কোন অপরাধ (সুপারী চুরি, গরু চুরি এবং মাদক পাচারসহ) থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখা এবং উল্লেখিত সীমান্ত অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গকে প্রেষণাসহ প্রতিরোধে সক্রিয় ভুমিকা রাখার জন্য বিজিবি’র সাথে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকালে আলোর পথে ফিরে আসায় প্রত্যেককে একটি করে রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। জানা যায়, সীমান্ত ঘেঁষা দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে অরক্ষিত সীমান্ত। সম্প্রতি সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) পরিচালক অধিনায়ক হিসাবে মোঃমাকসুদুল আলম যোগদান করে সীমান্তে বিভিন্ন অপরাধীদের ধরতে বিভিন্ন কৌশলে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। বিজিবির কঠোর ভূমিকায় অনেকটাই বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে ২৮জন স্থানীয় বাসিন্দা। তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে লেঃকর্নেল মোঃমাকসুদুল আলম অধিনায়ক, সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন, মেডিক্যাল অফিসার মেজর জালাল উদ্দীন, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাষ্টার, ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, ধন মিয়া, হাছিব উদ্দিন মেম্বার, তোফায়েল আহমেদ মাষ্টার, মানিক মাষ্টারসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকগণ উপস্থিত থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে বরণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সুযোগ করে দিয়েছেন।
Leave a Reply