জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ স্বামী পরিত্যক্ত নারী তিন সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ (কাজের মেয়ে) করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। গত একমাস ধরে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্ধি হয়ে পড়েন এই নারী। কাজ কাম না থাকায় তিন সন্তান আর নিজের খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। কঠিন সংকটকালে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তিনি এখন খুশি। বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর স্বামী পরিত্যক্ত নারী তিন সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ (কাজের মেয়ে) করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। গত একমাস ধরে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্ধি হয়ে পড়েন এই নারী। কাজ কাম না থাকায় তিন সন্তান আর নিজের খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। কঠিন সংকটকালে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তিনি এখন খুশি। বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর
পরিস্থিতির কারণে প্রায় অসহায় হয়ে পড়ি। এ্ই রোজার মাসে যেসব খাদ্য সহায়তা পেয়েছি এসব দিয়ে অনেকদিন চলে যাবে আমাদের। রমজানের এই দিনে দোয়া করি যারা আমাদের সাহায্য করেছেন আল্লাহপাক তাদের ভালো রাখুন।
জানা যায়, রমজান মাসের শুরুতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ঘরবন্দি দরিদ্র অসহায় দুর্গত মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সমকাল সুহৃদ ও আল-খায়ের ফাউন্ডেশন। গতকাল বিকেলে উপজেলা চাঁনপুর এলাকায় আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ সজীব এর উপস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইউনিয়নের একশ’ পরিবারের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রতিটি প্যাকেটে ১৫ কেজি চাল, এক কেজি করে ডাল, চিনি, লবণ, মুজি, দুই কেজি আলু, এক প্যাকেট বিস্কিট, ১ লিটার তেল এবং একটি করে সাবান দেয়া হয়েছে। আজ শুক্ররবার জগন্নাথপুরে আরো একশ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। বিতরণকালে জগন্নাথপুর নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম, আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার এসএম ইশতিয়াক হোসেন খান, পাটলী
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, সমকালের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি তাজউদ্দিন আহমদ, দৈনিক আমাদের সময় উপজেলা প্রতিনিধি গোবিন্দ
উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন, রমজানের শুরুতেই করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় অসহায় এবং দরিদ্র পাশে দাঁড়ানোর
জন্য সুহৃদ সমাবেশ ও আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিতরণকাজে সার্বিক সহযোহিগতায় ছিলেন স্থানীয় রোয়্যাল ডেভেলপার।
Leave a Reply