তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের কারণে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি, সদস্য সচিবসহ ৭ জনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মাটিয়ান হাওরের বাঁধের কাজ দেখতে গিয়ে বাঁধ এলাকা থেকে তাদের আটক করেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান, আটককৃতরা হলেন উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৪৭নং পিআইসি’র সভাপতি সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান, প্রকল্পের সদস্য সচিব একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদির আখঞ্জির ছেলে জামাল আখঞ্জি, এই প্রকল্পের সদস্য গ্রামটির মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে মজনু শাহ, ৪৮নং প্রকল্পের সভাপতি সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে সিরাজুল হক শাহ, এই প্রকল্পের সদস্য রতনশ্রী গ্রামের মৃত তাহির উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবীর। আরো আটক করা হয়েছে ৩৮ নং প্রকল্পের রতনশ্রী গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে মুনশাদ মিয়াকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁধের কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের কারণে তাদের আটক করা হয়।
অপরদিকে, জগন্নাথপুরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগে চার পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) সভাপতিকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নলুয়া হাওর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ আওতাধীন ১ নম্বর প্রকল্পের পিআইসি সভাপতি কামালখাল গ্রামের যুবরাজ মিয়া, ২নং প্রকেল্পর সভাপতি তেলিকোণা গ্রামের আম্বাদুল হক, ৭নং প্রকল্পের সভাপতি (পিআইসি) চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষণ ওয়ার্ডের নারী সদস্য ইসমাইল চর গ্রামের শান্তনা ইসলাম, নলুয়া হাওরের ৯নং প্রকল্পের সভাপতি চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির আহমদ।
গতকাল মঙ্গলবার হাওরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি টিম বাঁধের কাজের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শনকালে ওইসব প্রকল্পের সভাপতিদের আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুনুর-অর-রশিদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমদ ও শোভন রাইমা।
এসময় জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রব সরকার, জগন্নাথপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান, এএসআই মশাহিদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুনুর-অর-রশিদ বলেন, বাঁধের কাজেও কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম বলেন, বাঁধের কাজে অনিয়ম ও ত্রুটি থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
Leave a Reply