স্পোর্টস ডেস্কঃ
প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৯ রান তুলতে পেরেছিল সিলেট থান্ডার। জয় দিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করায় তাই কোনো বাধা দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু প্রতিপক্ষের মতোই ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাতলেন চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানেরা। তাতে অবশ্য একপেশে হতে যাওয়া এক ম্যাচ জমে উঠল। বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতেই নিল চট্টগ্রাম। ২ ওভার হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিক দল। আর টানা চার ম্যাচ হারল সিলেট।
এই ম্যাচের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিত্র গুলো দেখে নেওয়া যাক-
বাঁহাতি পেসারের ম্যাচ
প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসান আলো কেড়ে নিয়েছিলেন। পরে তাতে ভাগ বসালেন ক্রিশমার সান্টোকি। বাংলাদেশি তরুণ পেসারের ২৩ রানে ৪ উইকেট নেওয়া স্পেলের কারণেই শুরুতে রান খরায় ভুগেছিল সিলেট। সে ধাক্কা কাটিয়ে আর বড় স্কোর পায়নি থান্ডাররা। আর ১২৯ রান রক্ষা করতে নেমেও দারুণ করেছেন উইন্ডিজ পেসার। পাওয়ার প্লেতে টানা দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছেন। পরে মুকতার আলীকে তুলে নিয়ে চেপে ধরেছিলেন চট্টগ্রামকে। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
রান আউটে বদলে গেল ম্যাচের রং
চট্টগ্রামের সব ব্যাটসম্যানই ধুঁকছিলেন আজ। একমাত্র লেন্ডল সিমন্সই ইনিংসের এক প্রান্তে রান তুলে যাচ্ছিলেন। সেটাও ম্যাচের অন্য সবার চেয়ে দ্রুত গতিতে। প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েও তাই জয়ের পথে ছিল চট্টগ্রাম। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে তাঁর জুটি ম্যাচটা বের করে নিচ্ছিল। কিন্তু ১৩তম ওভারে শফিকউল্লাহর এক মিস ফিল্ডিংয়ে রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন ৩৭ বলে ৩ ছক্কা-চারে ৪৪ করা সিমন্স। তখনো ৪৩ বলে ৪৬ রান দরকার ছিল দলের, ফলে হঠাৎ করেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম।
নুরুল শো
সিমন্সের আউটে নুরুল হাসানের দায় ছিল না। তবু দলের মূল ব্যাটসম্যানকে বাঁচাতে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু সেটা না করায় তালি দেওয়ার ভান করে সিমন্স কটাক্ষ করে মাঠ ছেড়েছেন। এমন অবস্থায় ম্যাচটা জিতিয়ে ফিরতেই হতো এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে। সিমন্সের পর মুকতারও বিদায় নেওয়ার পরও হাল ছাড়েননি। কেশরিক উইলিয়ামসকে নিয়ে ঠিকই এনে দিয়েছেন মূল্যবান এক জয়। ২৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করা উইলিয়ামস ছিলেন ১৮ রানে।
বাংলাদেশি আম্পায়ারের পরীক্ষা
ক্রিশমার সান্টোকির এক ওভারেই দুবার পরীক্ষা। প্রথমে মুকতার আলীকে আউট দিলেন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান। সেটা রিভিউ নিলেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু রিভিউতে দেখা গেল নিঃসন্দেহে সেটা আউট ছিল। প্রথম দফা একবার পরীক্ষায় পাশ করলেন মাসুদুর। সে ওভারের শেষ বলেই উইলিয়ামসের প্যাডে বল লাগলে জোরালো আবেদন সান্টোকির। এবারেও ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত দিলেন আম্পায়ার। কিন্তু সেটা পছন্দ না হলে রিভিউ নেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু এবারও সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছেন মাসুদুর। তিন বলে দুই দল দুবার রিভিউ নষ্ট করল মাসুদুরের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে।
Leave a Reply