স্টাফ রিপোর্টারঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, আমরা হাওরাঞ্চলের মানুষ৷ আমাদের একমাত্র বিশ্বস্ত নেতা শেখ হাসিনা৷ তিনি হাওরের মানুষকে ভালোবাসেন৷ তিনি চান হাওরের মানুষ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাক৷

মন্ত্রী বলেন, আগেকার সময় বিশেষ করে আশ্বিন কার্তিক মাসে এই ডুংরিয়া গ্রামে শতশত মানুষ মারা যেতো খাবার ও দারিদ্র্যতার কারণে আর ছিল বিশুদ্ধ পানির অভাব ময়লা ও নদীর পানি পান করতো সবাই। পুরো ডুংরিয়া গ্রামে তখন ২ থেকে ২৫০০ মানুষের বসবাস আর টিউবওয়েল ছিল মাত্র দুটি। শুধু ডুংরিয়া না সর্বত্র আস্তামা নাইন্দাতে এই অবস্থা ছিল। এরপরে যখন বাংলাদেশে শাসনভারে জননেত্রী শেখ হাসিনা আগমন হলো তখন থেকেই পাল্টে যেতে লাগলো বাংলাদেশের চিত্র। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে শাসনকাজ হাতে নিলেন যার ফলে এর সুফল আমরা আজ পাচ্ছি। প্রথমত আমাদের লাখ লাখ মানুষ আজ সৌদি আরব, আমেরিকা, লন্ডন, কানাডাতে কাজ করছেন সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিদেশে আছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করছে। দ্বিতীয়টি হলো আমাদের লাখ লাখ ছেলে মেয়ে গার্মেন্টসে কাজ করে আর সেই কাপড় আমরা রপ্তানি করি দুনিয়ার সব জায়গায়, যেহেতু আমাদের মানুষ বেশি কম দামে শ্রমিক পাওয়া যায় পর্তায় কম পড়ে তাই সেগুলো আমরা বেশি দামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করি। সর্বশেষ তৃতীয়টি হলো আমাদের ভাইয়েরা বাচ্চারা যারা গ্রামে বাস করেন তাদের কৃষক বলা হয় তাদের জন্য সরকার নিয়ে আসলো বিনামূল্যে সার বীজ পানি এবং নতুন নতুন আধুনিক সকল প্রযুক্তি আর সাথে আছে অক্লান্ত পরিশ্রম ও খাটুনি। এরপর দেখতে পাই আমরা আমাদের ফসল বাড়া শুরু করলো এসব আল্লাহর খুদরত।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশের পাঠানো টাকা, কলের শ্রমিকের অর্জন আর কৃষকের উৎপাদন এই তিন গোষ্ঠী কারা? নিশ্চয়ই শহরের বাবুরা না এরা সবাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এই তিন সমন্বয়ে আমরা আর আগের মতো উপোস থাকিনা আমাদের আজ আয় বেড়েছে।

এখন পৃথিবী অবাক হয়ে থাকিয়ে কয় কিভাবে বাংলাদেশ ইহা সম্ভব করলো। আমাদের দেশের শিক্ষার হার ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বেশি এবং  বাচ্চারা বিনামূল্যে বই পায়, মায়েদের আর বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যুবরন করতে হয়না। শেখ হাসিনা সবসময় বলেন গ্রামের দিকে বেশি নজর দিতে।

মন্ত্রী বলেন,  হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ও মুসলমান সবাই মিলে সংগ্রামে করে যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়ে  দেশ স্বাধীন করেছি আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। গ্রামে আর সাকো দেখা যায় না এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শহর আর গ্রামের ব্যবধান কমে এসেছে।