স্টাফ রিপোর্টারঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ক্রীড়া সংগঠক, তরুণ সমাজ সেবক ও সাবেক এনজিও কর্মকর্তা এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক  মনিরুজ্জামান সুজন। তিনি ইতিমধ্যেই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ইমেজ তৈরি করে তুলেছেন তিনি। নির্বাচনী মাঠে সবার পরিচিত,  তরুণ ও একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে মানুষের মনে সাড়া জাগানো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মনিরুজ্জামান সুজন।

বর্তমান বৈশ্বিক করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে প্রথম যখন দেশের সাধারন মানুষের মাঝে এক আতঙ্কের তৈরি হয়েছিল ঠিক তখনই ইউনিয়নের তৃণমুল পর্যায়ের কর্মহীন হয়ে যাওয়া শ্রমজীবী অসহায় সাধারণ গরিব পরিবারের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মনিরুজ্জামান সুজন। শুধু তাই নয় নিজ এলাকার, বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের খেলাধুলার জার্সি ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে আসছেন। এলকার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বলও বিতরণ করেছেন তিনি। তাছাড়া হাটবাজারে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণাসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে হাত পরিস্কার করার সাবান, ডেটল ও ভাইরাস ধ্বংস করার জন্য স্প্রে বিতরণ করেছেন তিনি। এসব সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। এছাড়া বর্তমানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডুংরিয়া উত্তরণ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মনিরুজ্জামান সুজন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের বৃহত্তর ডুংরিয়া গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক ও সালিস ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মুনশী আব্দুল বারীর ৩য় পুত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এর আপন ভাতিজা।

জানা যায়, মনিরুজ্জামান সুজন’রা ৫ ভাই ও ৩ বোন। বড় ভাই নাসির উদ্দীন বাবুল একজন প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার, মেজ ভাই জিয়া উদ্দিন সোজা একজন ব্যবসায়ী। ৪ নং ভাই কবিরুজ্জামান সুমন সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। আর সব ছোট ভাই ফখর উদ্দিন (ছাবেক) একজন সৌদি আরব প্রবাসী।

তিন বোনের মধ্যে, বড় বোন ইয়াছমিন বেগম সিলেট শহরের বাসিন্দা। ২ নং বোন নাসিমা বেগম সপরিবারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী, আর সবার ছোট বোন সাবিনা বারী একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা।

আসন্ন জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন মনিরুজ্জামান সুজন।

স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের চায়ের দোকান গুলোতে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক ও চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছেন সাধারন ভোটররা।

প্রার্থীদের কেউ কেউ উন্নয়নের নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের এসব তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন ভোটাররা। তাঁদের প্রত্যাশা, যতই চাপ থাকুক না কেন, সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে ব্যালেট বিপ্লবের মাধ্যমে সমর্থন দেবে জনগন।

জয়কলস ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে একজন শিক্ষিত তরুণ,  ক্লিন ইমেজধারী প্রার্থী হিসেবে মনিরুজ্জামান সুজন সাধারন মানুষের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।

স্থানীয় শান্তিগঞ্জ বাজার ও ইউনিয়নের নোয়াখালী বাজারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত একাধিক সাধারন মানুষ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখনো ইউপি নির্বাচনের মাস খানেক বাকি থাকলেও অনেক প্রার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন।এখানে অব্যশই যোগ্য, সৎ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং যারা সব সময় অসহায় গরিব সাধারণ জনগণের বিপদে-পাশে থাকবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে ভোটাররা। তবে তাদের মতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নতুন মুখ বিজয়ী হওয়ার আবাস পাওয়া যাচ্ছে তৃণমুল পর্যায়ের ভোটারদের মাঝে। এছাড়া অধিকাংশ জনগণ এখন পরিবর্তন চান। আর বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মুলত পরিবর্তনে বিশ্বাসী।

মনিরুজ্জামান সুজন বলেন, তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি , নৌকায় ভোট দিন শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমি মাঠে নেমেছি।

এ নিয়ে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে তাকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। জয়কলস ইউনিয়নের প্রতিটি তরুণ এর মধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে, তাদের শ্লোগান হচ্ছে- তারুণ্যের প্রথম ভোট তারুণ্যের জয় হোক। চায়ের দোকানগুলোতে সে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শিক্ষিত শ্রেনী ও সমাজের বেশিরভাগ মানুষ তাঁর সম্পর্কে  ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। দেখা গেছে সেখানকার তরুণ যুব সমাজ ও সাধারণ জনগণ তাকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই বলে নানা রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন বানিয়ে  ভোটারদের মনোযোগ আর্কষণ করার চেষ্টা চলছে।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনিরুজ্জামান সুজনের সাথে কথা হলে, তিনি জানান; আমি সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি; মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে লালন করে থাকি। দেশরত্ন, জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  সবসময় তরুণদের  প্রতি  আস্থা রেখেছেন। তারুণ্যের অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয় হচ্ছেন, এই তারুণ্যের প্রতিনিধি ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের রুপকার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমন তারুণ্য নির্ভর প্রার্থীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করলে বাংলাদেশ  আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে- ‘’ আমার গ্রাম হবে আমার শহর; প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ ‘’ সেটার কার্যকর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে । আরেকটি অঙ্গীকার ‘’ তারুণ্যের শক্তি- বাংলাদেশের সমৃদ্ধি‘’- এটি একমাত্র তরুণদের দ্বারা সম্ভব। আমাকে দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে তারুণ্যের ভোটে আমি বিজয় অর্জন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।