নাজমুল ইসলাম, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি-: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আসামপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোহাগ দাস (১৪) নিহত হয়। জানা যায়, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আসামপাড়া এলাকায় বিবু দাসের বাড়ীর সন্নিকটে একটি লাইন ছিড়ে পড়ে থাকে। বিবু দাস সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কার্যলয়ে একাধিক বার ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সরবরাহ বন্ধ করার অনুরোধ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সংযোগ বন্ধ করেনি। এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় বৃষ্টির সময় বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিল আসামপড়া গ্রামের সুবির দাসের ছেলে ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র সোহাগ দাস (১৪)। বৃষ্টির রাতে বাড়ী যাওয়ার পথে পড়ে থাকা বিদ্যুৎ লাইন দেখতে না পাওয়ায় জড়িয়ে যায় লাইনে। এসময় চিৎকার দিলে এলাকাবাসী সহ সোহাগের মা দৌড়ে এসে দেখতে পান পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইনে সোহাগ আটকা পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করা হলে সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনার ২০ মিনিট পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। তখন মৃতদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষনা করেন। এলাকাবাসী আরও জানান, মায়ের সামনে ছেলের এমন মৃত্যুর কারনে এলাকায় হৃদয় বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এমন মৃত্যু কোউ মেনে নিতে পারেনি। ফলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে আসামপাড়া এলাকায় সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানোজিং কমিটির সভাপতি এখলাছুর রহমান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি গণ উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিমের সাথে আলোচনা করে ঘটনার সুষ্ট তদন্তের আশ্বাস দিলে রাস্তায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এবিষয়ে জানতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন রিসিভ হয়নি।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান বলেন, বিষটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাহী অফিসার আশ্বাস দিয়েছেন। মৃত্যুর দায়ভার সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ না নিলে বড় ধরনের দূর্ঘটানা ঘটতে পারে। এবিষয় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত বিদ্যুতের তার জড়িয়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।