দক্ষিণ সুনামগঞ্জ২৪ ডেস্কঃ সরকার নারী-পুরুষের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সততা, আর দূরদর্শী নেতৃত্বে  পদ্মা সেতু  হয়েছে।  এটাই শেষ নয় আরো অনেকপদ্মা সেতু সেতু করতে হবে। সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ  রেল নিয়ে যেতে হবে। করোনামুক্ত হয়ে প্রথমবারের মতো সিলেট সফরে  আসলে  বিমানবন্দরে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবরূপ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী  এম এ মান্নান বলেন, আজকে  নিজের  অর্থায়নে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে,।পদ্মার বুকে সেতু তার অস্থিত্ব জানান দিয়েছে তার জন্য কাকে ধন্যবাদ দিবেন? নিশ্চয় শেখ হাসিনা দিতে হবে। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি সাহস করে খালি হাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন ।

মন্ত্রী বলেন, জানা ছিলো না টাকা কোথা থেকে আসবে?  কিন্তু আজ টাকাও আসছে পদ্মা সেতুও হয়ে গেছে।  এখানেই শেষ না উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আরো অনেক সেতু,কালবার্ট ও রাস্তার কাজ বাকি আছে, তার মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪লেনের কাজ শুরু হচ্ছে, ডুয়েল রেল লেনের কাজ করতে হবে ।  সিলেট-সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা রাস্তার কাজ করতে হবে।সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ রেল নিয়ে যেতে হবে।

আজ  শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে একদিনের সরকারি সফরে সিলেট এসে পৌঁছেন মন্ত্রী। সকাল ৮ টায় ৫০ মিনিটে আসার কথা হলেও  আকাশে ঘন কুয়াশা থাকার ফলে সিলেটে আসতে দেরি হয়। মন্ত্রী বলেন ,আমদের সরকার কোনো বিশেষ ভিত্তিক অঞ্চল নিয়ে কাজ করে না  আমি সবার জন্য পরিকল্পনা করি সরকার সবার জন্য কাজ করে। আমার পরিকল্পনায় বিশেষ ভিত্তিক অঞ্চল নিয়ে কাজ করি না।  যদি এমন করি?  তাহলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না, সাথে আমার নেত্রীও আমাকে ক্ষমা করবেন না।

বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সিলেটে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা আমার আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়টি নিয়ে দাবি উপস্থাপন করবো। আপনারা আগে দাবী তুলেন আমি কাজ করব। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তির পরিচালালনায় অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এড. শামসুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম, মাসুদ কামাল সুফি, ছফু আহমদ, আলী হেসেন, জাহাঙ্গীর আলম জাবেদ,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কামান্ডের সাধারণ সম্পাদক জবরুল ইসলামসহ,সিলেট ও সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।এর আগের পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ.মান্নান কে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে সকাল আটটায় সুনামগন্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলের সার্বিকতত্বাবধানে ওযুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে পরিকল্পনা মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পুরো বিমান্দর এলাকায় জয় বাংলা মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।মন্ত্রী বলেন মহামারি করোনা থেকে মুক্ত করার জন্য মহান আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক সিলেটের কৃতি সন্তান এম এ জি ওসমানীকে স্মরন করে বলেন আজকের বাংলাদেশ নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি , সারা বিশ্বে আজ আমাদের  মাথা উঁচু । তারপর ও আমাদেরকে কিছু বিষয় নিয়ে সংগ্রাম করে আগাতে হচ্ছে ,যার মধ্যে প্রথম কাজ হলো উন্নয়ন ।

প্রধানমন্ত্রী গরীবকে বেশ ভালোবাসেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের মহানায়ক ও জনপ্রিয় নেতা,বঙ্গবন্ধুর আর্দশের একজন আর্দশিক সৈনিক ও উন্নয়নের মহানায়ক শেখ হাসিনা যাকে বিশ্বের প্রথম কাতের ৫ জনের একজন হিসাবে ধরা হয় যার নেতৃত্বে আমি তার সহকারী হিসাবে কাজ করছি। উন্নয়নের সকল পরিকল্পনা রোড ম্যাপ তৈরি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাই এবং সব পরিকল্পনা নিজ হাতে তদারকি করে বাস্তবে রূপ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমি সিলেট কিংবা সুনামগঞ্জের উন্নয়নের পরিকল্পনা মন্ত্রী না আমি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার দায়িত্ব নিয়েছি।

নেত্রীর নির্দেশেই গরীব মেহনতি মানুষ,পিছিয়ে পড়া মানুষ,পাহাড়ি অঞ্চলের মানূষ,হাওর অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি ।এসময় বিমানবন্দরে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা প্রদান করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জে নিজ বাড়িতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।