বিনোদন ডেস্কঃ  
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। তাঁর বয়স ৬০, কিন্তু মনের দিক থেকে তিনি আজও তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ছবিতে আসা লাইকের সংখ্যা আকাশছোঁয়া! হালের বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছবি পোস্ট করে হরহামেশাই ঝড় তোলেন ইনস্টাগ্রাম-টুইটারে। ইনস্টাগ্রামে চার লাখ ছুঁইছুঁই অনুসারী তাঁর। এই অনুসারীদের জন্য নতুন বার্তা দিয়েছেন ‘শুভ মঙ্গল জ্যায়দা সাবধানে’র তারকা।
অবশ্য বার্তা না বলে পরামর্শ বলাই ভালো। এক ভিডিওতে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নীনা ভাগাভাগি করেছেন অনুসারীদের সঙ্গে। উত্তরাখন্ডের মুক্তেশ্বর থেকে ছাড়া ভিডিওতে তিনি জনতাকে বিবাহিত পুরুষ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ‘সাচ কহু’ বলে যে সিরিজ নীনা করে চলেছেন, তার মধ্যে এই পরামর্শটি এসেছে। সেখানে তিনি একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তার কিছু অতীত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তারপর তিনি তাঁর নারী ‘বন্ধুদের’ পরামর্শ দিয়েছেন বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে না জড়ানোর জন্য।
‘বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়বেন না। আমি পড়েছি, তার জন্য যন্ত্রণাও ভোগ করেছি। এ জন্য আমি আমার বন্ধুদের বলছি, এমন করার চেষ্টা করবেন না’, ভিডিওতে জানাচ্ছেন ৬০ বছর বয়সী নীনা। তাঁর বক্তব্য ইনস্টাগ্রামবাসীদের মনে ধরে। তাঁরা প্রশংসাসূচক মন্তব্যে নীনাকে ভাসিয়ে দেন। একজনের মন্তব্য ছিল এমন, ‘এভাবে গল্পের ভেতর দিয়ে নীতির কথা সবাইকে জানানো সত্যি সাহসিকতার ব্যাপার।’ আশির দশকে নীনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই সম্পর্কের ফসল নীনার মেয়ে মাসাবা। পরে ভিভ বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মিরিয়ামের সঙ্গে। আর নীনাও চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট বিবেক মেহরার গলায় মালা দেন।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া অমিত শর্মা পরিচালিত ‘বাধাই হো’ ছবিটি বলিউড বক্স অফিসে ব্যাপক সফলতা পায়। ছবিতে নীনা গুপ্তাকে দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক সন্তানসম্ভবা নারীর চরিত্রে। তাঁর চরিত্র ঘিরেই যত কাণ্ড। গত বছর এই ছবির বদৌলতেই নীনা ঘরে তোলেন বলিউডের সব বড় পুরস্কার। অভিনয়জীবনের এই পর্যায়ে এসে অভিনেত্রীরা যেখানে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন, সেখানে ‘বাধাই হো’ নীনাকে আবার নতুন করে যাত্রা শুরুর অনুপ্রেরণা দেয়। তাই নীনা কোমর বেঁধে নেমে পড়েন মাঠে। এরই ফল হিসেবে শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি শুভ ‘মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান’।
একটা সময় বলিউডের সিনেমাগুলোয় নীনাকে শুধু নেতিবাচক চরিত্রে তুলে ধরা হয়েছিল। আজ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি নিজেকে সেই ধরাবাঁধা চরিত্র থেকে বের করে এনেছেন।