দক্ষিণ সুনামগঞ্জ২৪ ডেস্ক:; সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে নামপরিচয়হীন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর আগমন ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে পয়ত্রিশ বছরের ওই নারী শনিবার বিকেলে বাজারের পাশে থাকা এক কলোনীতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি নজরে এলে কলোনীর বাসিন্দারা বুঝতে পারেন ওই নারী সন্তান সম্ভাবা। প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন। কলোনীর বাসিন্দারা বিষয়টি স্থানীয় ইউ.পি সদস্য খালেদ আহমদকে জানান। খালেদ পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে জানান। পরে চেয়ারম্যানের পরামর্শে তাৎক্ষনিকভাবে ওই নারীকে পাটলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। বিকেলে স্বাভাবিকভাবে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় ওই নারী। পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ইউ.পি সদস্য খালেদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, রসুলগঞ্জ বাজারের মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী জুবেদা খাতুনসহ কয়েকজন নারীর সহযোগীতায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করি। সেখানে ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্মদেয় ওই নারী। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা সহযোগীতা করে হাসপাতালে পাঠাই। গতকাল রোববার তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসি। তিনি বলেন,নবজাতক ও তার মাকে সহযোগীতা করতে আমাদের এলাকার জুবেদা খাতুন, রাবেয়া বেগম ও আব্দুল্লাহ মিয়ার স্ত্রী সার্বক্ষনিক সাথে রয়েছেন। আমরা তাদেরকে সহযোগীতা ও খোঁজখবর নিচ্ছি। পাটলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক  বলেন, ঘটনাটি আমি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে অবহিত করি। পরে তাদের সহযোগীতায় নবজাতক ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করি।
জগন্নাথপুর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সুব্রত দাশ জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তর শুরু থেকে নবজাতক ছেলে ও মায়ের পাশে রয়েছে। আজ হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, সন্তান ও নবজাতককে হাসপাতালে দেখে ছেলেটির নাম রেখেছি মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ছেলেটিকে আজ বেবীহোমে পাঠানো হবে। আর তার মাকে চিকিৎসা দেয়া হবে ওসমানী হাসপাতালে। জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন। ওই মায়ের পরিচয় জানার চেষ্ঠা চলছে।