বিনোদন ডেস্কঃ  
তখন ইন্ডাস্ট্রিতে সবেমাত্র পা দিয়েছেন জারিন খান। আর শুরুতেই এক পরিচালকের প্রস্তাবে অবাক হয়েছেন এই বলিউড সুন্দরী। ছবিতে একটা চুমুর দৃশ্য ছিল। দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করার আগে জারিনের সামনে অদ্ভুত এক প্রস্তাব রাখেন পরিচালক।
সেই পরিচালক জারিনকে বলেন, দৃশ্য ধারণের আগে চুমুর দৃশ্যটি মহড়া দেওয়া প্রয়োজন। তিনি এই বলিউড অভিনেত্রীকে বোঝান যে তাঁকে দৃশ্যটি অত্যন্ত সাবলীলভাবে করতে হবে। কোনো জড়তা থাকলে চলবে না। তাই পরিচালকের আবদার এই বলিউড তারকা তাঁকে চুমু দিয়ে সব জড়তা যেন কাটিয়ে ওঠেন। জারিন অবশ্য মুখের ওপর না করে দেন। আর পরিষ্কার জানিয়ে দেন যেকোনো চুম্বন দৃশ্যের রিহার্সল করতে পারবেন না তিনি। সেদিন এভাবে কাস্টিং কাউচের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করেন জারিন।
বেশ কয়েক মাস আগে বলিউড অভিনেতারা কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। অনেক অভিনেতা তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অপ্রীতিকর ঘটনার কথা ফাঁস করেন। এবার কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুললেন জারিন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাঁর পাশে ছিলেন সালমান খান। বলা যায়, তিনি বলিউডের ভাইজানেরই আবিষ্কার। ২০১০ সালে সালমান খানের ‘বীর’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর।
তবুও ক্যারিয়ার শুরুর দিনগুলোতে নানা অস্বস্তিকর প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয়েছে জারিনকে৷ তবে বলিউডে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলার পরও জারিন খানকে অসংখ্যবার কুপ্রস্তাবের সামনাসামনি হতে হয়েছে। এক পরিচালক জারিনকে তাঁর আগামী প্রজেক্টে নেওয়ার জন্য এক প্রস্তাব রেখেছিলেন। পরিচালক বলেছিলেন যে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের ‘গভীরে’ যেতে হবে। জারিন সাফ না করে দিয়েছিলেন। সেই কথা মনে করে জারিন বলেন, ‘আমার কাছে আত্মসম্মান সবার আগে। আর এর কোনো গ্যারান্টি নেই যে তাঁর প্রস্তাবে রাজি হলেই আমি কাজটা পেতাম।’
এর আগে আরেক বলিউড তারকা বিদ্যা বালানও মুখ খুলেছেন কাস্টিং কাউচ নিয়ে। বলেছেন, তিনি যতবার পরিচালককে কফি শপে দেখা করতে বলেছেন, ততবার পরিচালক অসম্মতি জানিয়ে ঘরে আসতে চেয়েছেন। বিদ্যা বালান তাই ঘরে আলাপ করার ব্যাপারেই সম্মত হন। তবে তিনি ঘরের দরজা খোলা রেখেছিলেন। আর ঘরে প্রবেশ করে পাঁচ মিনিট পরই ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ওই পরিচালক।
কিছু দিন আগে জারিন খানের একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এই বলিউড অভিনেত্রী ইন্টারনেটে তাঁর একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। এই ছবিটিকে ঘিরে যত বিপত্তি৷ ছবিতে দেখা গেছে তাঁর পেটে কাটা দাগ। আর সে জন্য নানাভাবে ট্রলের শিকার হতে হয় তাঁকে। জারিন খান ট্রলকারীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এটাই তাঁর স্বাভাবিক পেট। আর সম্প্রতি তিনি ৫০ কিলোর বেশি ওজন ঝরিয়েছেন।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যারা আমার পাকস্থলী নিয়ে খুবই কৌতূহলী, তাদের বলছি। এটা একজন মানুষের স্বাভাবিক পাকস্থলী, যে ৫০ কেজির বেশি ওজন ঝরিয়েছে। ফটোশপ বা “সার্জিক্যাল কারেকশন” ছাড়া এটিই আমার স্বাভাবিক পেট। আমি সব সময় আমার সমস্ত সত্যি নিয়ে সামনে হাজির হয়েছি। সমস্ত ত্রুটি, অসম্পূর্ণতা নিয়েই। কখনো ঢাকার চেষ্টি করিনি। আর আমার সমস্ত ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়েই আমি গর্বিত।’
জারিন খানের এই বক্তব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুশকা শর্মা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘জারিন, তুমি সুন্দর আর সাহসী। তোমার সমস্ত অসম্পূর্ণতা নিয়েই তুমি সম্পূর্ণ।’