দক্ষিণ সুনামগঞ্জ২৪ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আব্দুর রউফ নামে গ্রাম পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডে র্যাবের অভিযানে ২ জনকে আটক ও পুলিশের অভিযানে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের হাতে আটককৃত দুইজন হলেন- উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের হলহলিয়া চরগাঁও গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আ. হেকিম(৩০) তার সহযোগী বোরখাড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক শাবনুর (২৫)। আর পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম ইয়াসিন (২০)। সে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (৭ মে) বিকালে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ন হলহলিয়া চরগাঁও গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে জানায় র্যাব। একই সাথে এ হত্যাকাণ্ডে তাদের আরেক সহযোগী হলহলিয়া চরগাঁও গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (২৮) পলাতক রয়েছে বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত গ্রাম পুলিশ সদস্য আব্দুর রউফের মরদেহ উদ্ধার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের একটি আভিযানিক ও গোয়েন্দা দল কাজ শুরু করেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয় এবং তাদের আরেক সহযোগী বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
র্যাব-৯ এর উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডে হলহলিয়া চরগাঁও গ্রাম থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং তাদের আরেক সহযোগী পলাতক রয়েছে বলে জানান। আটক দুইজনকে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অপরদিকে পুলিশ আরও একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ তরফদার। তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে মো. ইয়াসিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply