স্টাফ রিপোর্টারঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের রনসী গ্রামসংলগ্ন দেখারহাওরে (ডাইক-২) ৪৮ নং প্রকল্প বাস্তয়ন কমিটি (পিআইসি)’র সভাপতি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোকন মিয়া। গত সপ্তাহে একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ৪৮ নং পিআইসির বাঁধের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি, গ্রামের পঞ্চায়েতের কাটানো মাটি নিজে কাটিয়েছেন বলে প্রকল্প ভাগানোর চেষ্টা এবং বাঁধে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। এমন প্রচারে বিব্রত হয়েছেন পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিব ও অন্যান্য সদস্যরা। তারা সকলেই এ প্রচারকে উদ্দেশ্য প্রণোধিত, বানোয়াট ও বিভ্রতকর বলে উল্লেখ করেছেন। তাই বাঁধের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না তা স্পষ্ট করতে ও প্রকাশিত সংবাদের সাথে ভিন্নমত জানাতে ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন ইউপি সদস্য রোকন মিয়া। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পূর্ব পাগলার রনসী মক্তবের সামনের মাঠে উন্মোক্ত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রোকন মিয়া বলেন, বাঁধের কাজে আমি বা আমার কমিটি কোনো অনিয়ম করিনি। আমরা স্বচ্ছভাবে কাজটি করেছি। প্রকল্প ভাগানোর কোনো চেষ্টা তো দূরে থাক পঞ্চায়েতের জায়গায় আমরা কোনো কাজ করাইনি। আমরা কাজ করিয়েছি বাঁধে। কেমন কাজ আমরা করেছি এ এলাকার প্রতিটি গ্রামের মানুষ তার প্রমাণ। যারা এর আগের দিন পত্রিকায় বাঁধের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়নি বলে বক্তব্য দিয়েছেন তারা নানাভাবে আমার কাছ থেকে বা আমার কমিটির অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে লাভবান হতে চেয়েছেন। তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমরা তাদের সে সুযোগ দেইনি বলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং সাংবাদিকের কাছে মিথ্যাচার করেছে। আমি ও আমার কমিটির সকল সদস্য মনে করি সামনের নির্বাচনে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমন মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এমন সংবাদ অবশ্যই মিথ্যা, বানোয়াট ও বিব্রতকর। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
রনসী গ্রামের সুনু মিয়া বলেন, ধান রক্ষার জন্য যে বাঁধের কাজ রোকন মেম্বার পেয়েছেন তা একদম পরিষ্কার। এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। আমরা গ্রামের সবাই জানি রোকন মিয়া ওয়ার্ক ওয়ার্ডার অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রবীণ মুরব্বি বদরুল আমীন বলেন, রোকন মিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তিনি কাজ করান নি। তা ঠিক নয়। কাজ তিনি করিয়েছেন। বাঁধে মাটি কাটিয়েছেন।
চুরুক নূর বলেন, আমরা গ্রামবাসী মিলে বাঁধের পাশে কিছু মাটি কাটিয়েছি। রোকন মেম্বার এখানে কোনো মাটি দেনও নি, নেনও নি। এখানে তার কোনো লেনদেন নেই। তার সাথে এব্যপারে আমাদের গ্রামের কারো সাথে কোনো আলাপ হয়নি। তিনি বাঁধে আনুমানিক ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ মিটার মাটি কাটিয়েছেন।
এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- লিম্বর আলী, নূরুল হক, আবদুল মতিন, তারিছ মিয়া, ইছবর খা, প্রাক্তন মেম্বার আবদুল বারী, আবুল খয়ের, আবদুর রহিম, জাহির খা, আবদুল আলীম, মনর আলী, আবদুল বারীক, রুয়েল মিয়া, নিজাম উদ্দিন, শামীম আহমদ, কাহার মিয়া, সাজন মিয়া, হারিছ আলী, জুয়েল মিয়া, সুজা মিয়া, খচির আলী ও দৌঁড়া শাহ্ প্রমুখ।
Leave a Reply