দক্ষিণ সুনামগঞ্জ২৪ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শাহ্ আরেফিন (র.)’র ওরস ও পনতীর্থের বারুণি স্নান হচ্ছে না এবার। সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, ২৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাকসুদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফর আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, ইমাম মোয়াজ্জিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিলোয়ার হোসাইন, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমান রায়, অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, বিজয় তালুকদার বিজু, রাজ শ্যাম প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে গণজমায়েত’র উপর সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই অবস্থায় ২১ থেকে ২৪ মার্চ শাহ্ আরেফিন (র.) ওরস এবং পনতীর্থের গঙ্গা স্নান হবে না এবার। এই বিষয়টি স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের প্রচার করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, চৈত্রমাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে স্নান করলে গঙ্গা স্নানের সমতুল্য হয়। এই বিশ্বাসে প্রায় ৫০০ শ’ বছর পূর্ব থেকেই এই সময়ে এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও এখানে লাখো পূন্যার্থী স্নান সারতে আসেন। এসময় যাদুকাটার পাড়ের অদ্বৈত প্রভুর মন্দিরে এবং ওপারের ইসকন মন্দিরে কীর্তন এবং মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে। একই সময়ে অদ্বৈত মন্দিরের ৩ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী লাউড়েরগড়ে শাহ্ আরেফিন (র.) ওরস বসে। ওখানেও হাজার হাজার আরেফিন (র.) ভক্তরা সমবেত হন।
Leave a Reply