ডেস্ক নিউজ :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের ডিও লেটারে সিলেট – চট্রগ্রাম রেল রোডে চলাচলকারী পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসে যুক্ত হচ্ছে নতুন কোচ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের রেলকে অত্যাধুনিক সেবার মাধ্যমে উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তখন সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে পুরনো রেল কোচ দিয়ে সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রোডে যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
রেলের পুরনো বগি দিয়ে ট্রেন চলাচল করায় সিলেটবাসী অত্যাধুনিক রেল সেবা থেকে সিলেটবাসী বঞ্চিত ছিলেন। এজন্য সিলেটবাসী অত্যাধুনিক রেল সেবা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ দিন দাবি করে আসছেন।
আর সেই দাবী রক্ষার্থে সিলেটবাসীর রেল সুবিধা অত্যাধুনিক করার লক্ষে সিলেট – চট্রগ্রাম রেল রোডের পাহাড়ীকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসে নতুন কোচ যুক্ত করার ডিও লেটার দিয়ে পাশে এসে দাড়ালেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ মোমেন।
দুটি ট্রেনে ১৪টি করে নতুন ইন্দোনেশিয়ান কোচ যুক্ত হবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান।
তিনি আরো জানান, আগামী ২৬ জানুয়ারি যুক্ত হওয়া নতুন কোচগুলোর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, সিলেট রুটে নতুন ট্রেন কোচ দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে।
নতুন কোচগুলো সংযুক্ত করায় সিলেটবাসী আনন্দিত। আশাকরি সিলেট-ঢাকা রোডেও নতুন কোচ স্থাপন করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানাচ্ছি, বলছিলেন ড. মোমেন।
উল্লেখ, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল রেলের সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে। এর মধ্যে সিলেট চট্টগ্রামের ট্রেন উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস জীর্ণ দশায় চলছিল।
ট্রেন দুটির বেশিরভাগ আসনই শোভন শ্রেণীর। এই ট্রেনগুলোতে ৩৭৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
কারণ ট্রেনগুলোতে কোমর সোজা করে প্রায় ১০ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হয়। এছাড়া ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসেও চলছে জীর্ণ দশা।
সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস মাত্র একটি এসি চেয়ার, একটি নন এসি কেবিন, দুটি শোভন চেয়ার ও একটি ডাইনিং শোভন চেয়ার।
বাকিগুলো শোভন শ্রেণীর আসন নিয়ে চলছিল। নতুন ইন্দানেশিয়ান ১৪/২৮ কোচের লোডে চলবে উদয়ন ও পাহাড়িকা।
রেলের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টা।
আবার সিলেট থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৫০মিনিটে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট থেকে সকাল সোয়া ১০ টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে রাত ৭ টা ৩৫ মিনিটে।
এছাড়া ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৯ টায় ছেড়ে সিলেটে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬ টায়।
সৌজন্যে: হাওরবাংলা টোয়েন্টিফোর
Leave a Reply