দক্ষিণ সুনামগঞ্জ২৪ ডেস্কঃ
সারা দেশে মাদক বিরোধী অভিযান ”চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে” শুরু হওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলার শীর্ষ মাদক কারবারীর নামের তালিকায় তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে মাদক সম্রাট আব্দুর রাজ্জাকের নাম উঠে আসে ১নাম্বারে। তখন সে সুকৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ছয় মাস পলাতক থাকার পর মাদক বিরোধী অভিযানে দেশের অনেক মাদক কারবারী নিহত হলে অভিযান কিছুটা শীতিল হলে রাজ্জাক আবারো চলে আসে এলাকায়। কিছুদিন নিরব থাকার পর মেয়ে জামাই মোটরসাইকেল চালক বাদল মিয়া তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ফরমায়েশ করার সুবাধে পুলিশ কখন কোথায় যায় এ খবর পৌছে দিতো রাজ্জাকের কাছে। এই সুযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে মেয়ে জামাই বাদলের পরোক্ষ সহযোগীতায় রাজ্জাক আবারো শুরু করে মাদক ব্যাবসা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে ও এএসআই জহরুল ইসলামের সহযোগীতায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাজ্জাকের বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহমদের উপস্থিতিতে রাজ্জাকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসত বাড়ীর আঙিনায় বিভিন্ন ঝোপের ভিতর লুকিয়ে রাখা ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ ম্যাকডোয়েলস নাম্বার-১ ছয় বোতল মদ ও চার বোতল সেভেজ বিয়ার উদ্ধার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজ্জাক গত দেড় যুগ ধরে মাদকের ব্যাবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে এপর্যন্ত থানায় ১১টি মাদকের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও রাজ্জাকের ছেলে জাহাঙ্গীরও মাদকের ব্যাবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্ধা। তারা আরো জানান বিকেল থেকেই রাজ্জাকের বাড়ীর পাশে মাদকসেবীদের যাথায়াত বেড়ে যেতো। মাদকের বেচাকেনা চলতো রাত ১১টা পর্যন্ত। একাধিক মাদকের মামলা থাকার কারনে রাজ্জাকের ছেলে জাহাঙ্গীর কৌশল পাল্টে হয়ে গেছে মোটরসাইকেল চালক। তবুও থেমে নেই মাদকের ব্যাবসা জাহাঙ্গীরকে মোবাইল ফোনে মাদকের অর্ডার করলে আশপাশের এলাকায়ও মাদক সরবরাহ করে বলেও জানিয়েছেন একাধিক লোকজন।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, এসআই মোহাম্মদ আমির উদ্দিন বাদী হয়ে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply